নবম শ্রেণী ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি পার্ট | Class 9 Model Activity Task Geography

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা Class 9 Geography Model Activity Task Part 6 (নবম শ্রেণী ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি পার্ট ৬) এর প্রশ্ন উত্তর গুলি আলোচনা করছি ।

আশা করি তোমরা এই পোস্ট টি থেকে অনেক উপকৃত হবে । আমাদের উত্তর গুলি খুব উন্নতমানের হয়, এই পোস্ট টি যদি তোমার ভালোলেগে থাকে তবে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ।

Class 9 Geography Model Activity Task Part 6 Answers

September Month

১। বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ – ১×৩=৩

১.১ অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

ক) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান ০ ডিগ্রি
খ) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত
গ) অক্ষরেখগুলি পরস্পরের সমান্তরাল
ঘ) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান

উত্তর -অক্ষরেখগুলি পরস্পরের সমান্তরাল

১.২ বিদার অগ্ন্যুদগমের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হলো-

ক) স্তুপ পর্বত
খ) লাভা মালভূমি
গ) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি
ঘ) আগ্নেয়গিরি

উত্তর – আগ্নেয়গিরি

১.৩ ঠিক জোরাটি নির্বাচন কর –

ক) দামোদর নদী পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল
খ) কালিম্পং জেলা সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান
গ) পডজল মৃত্তিকা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল
ঘ) অ্যালপাইন উদ্ভিদ সুন্দরবন অঞ্চল

উত্তর – কালিম্পং জেলা সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান

২। শূন্যস্থান পূরণ কর –

২.১ দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে সমকোণে ছেদ করেছে ।

২.২ আবহবিকারগ্রস্থ শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার উপর যে শিথিল আবরণ তৈরি করে তাকে রেগোলিথ বলে ।

২.৩ দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হল তিস্তা ।

৩ । সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও –

৩.১) আবহবিকারে প্রাণীদের ভূমিকা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা দাও ?

উত্তর – মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী যেমন কেঁচো, ইন্দুর, খরগোশ, উইপোকা ও বিভিন্ন মূষিক জাতীয় প্রাণী শিলাস্তরের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে জৈব-যান্ত্রিক আবহিকারের সাহায্য করে । রাসায়ানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেও প্রাণীরা আবহবিকারে অংশগ্রহণ করে থাকে ।

ক) যান্ত্রিক পদ্ধতি – ইন্দুর, খরগোশ, পেঁচা ইত্যাদি শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে বাসা তৈরি করে ।

খ) পশু পাখির বর্জ্য পদার্থ শিলার রাসায়ানিক আবহবিকার ঘটায় । প্রাণী মারা যাওয়ার পর প্রাণীদের থেকে নির্গত জলীয় পদার্থের মাধ্যমে শিলার রাসায়ানিক আবহবিকার ঘটে ।

৩.২) পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বাস করেন । ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা কর । ৩

পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বাস করেন কারণ –

জলের জোগান – বেশিরভাগ সমভূমির ওপর দিয়েই বড়ো বড়ো নদী গুলি প্রবাহিত হয়েছে ।তাই পানীয় জল, সেচের জল ও অন্যান্য কাজের সুবিধার জন্য পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ সমভূমিতে বাস করে ।

কৃষিকার্য – সমতল ভূমি ও উর্বর মাটি কৃষিকার্য করার জন্য খুবই উপযোগী ।

সমতল ভূভাগ – সমতল ভূভাগ হওয়ায় সমভূমিতে জনবসতি গড়ে তোলার একাধিক পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা, উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা থাকে ।

ব্যাবসা বানিজ্যের বিকাশ – ব্যাবসা বানিজ্যের সুবিধার জন্য সমতল ভূমিকে কেন্দ্র করে শিল্পাঞ্চল গুলি গড়ে উঠেছে । ফলে মানুষ সেই শিল্পকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে কাজের সুবিধার্থে বসতি স্থাপন করেছে ।

উন্নত যাতায়াত ব্যাবস্থা – সমতল ভুমিতে বাস, ট্রাম, রেল ইত্যাদির ব্যাবস্থা থাকায় যাতায়াত করতে অনেক সুবিধা হয় ।

। পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো ?

ঋতু পরিবর্তন : সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়ন ও মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের ফলে পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত এই চারটি ঋতু চক্রাকারে আবর্তিত হয়।

বৃষ্টিপাতের অসম বন্টন : রাজ্যের সর্বত্র সমভাবে বৃষ্টি হয় না। বৃষ্টিপাত উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পশ্চিমে হ্রাস পায়। উত্তরের পার্বত্য ও তরাই অঞ্চলে ৩০০-৫০০, দক্ষিণবঙ্গে ১৫০-২০০ এবং পশ্চিমের মালভূমিতে ১০০-১৫০ সেমি. বৃষ্টিপাত হয়।

মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : রাজ্যে ঋতু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাতের সংঘটন ও বন্টন, বায়ুপ্রবাহ ও উষ্ণতার পরিবর্তন সবকিছু মৌসুমি বায়ুদ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৯০% মৌসুমি দ্বারা ঘটে। মৌসুমি বায়ুর জন্য গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক হয়।

উষ্ণতার তারতম্য : ১) গ্রীষ্মে প্রায় লম্ব সূর্যরশ্মির জন্য গড় উষ্ণতা অধিক হয়, ৩২°-৩৭° সে.। পুরুলিয়া মালভুমিতে ৪৮° সে. উষ্ণতা ওঠে। দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর উপকূল বরাবর সমভাবাপন্ন অবস্থা বিরাজ করে। ২) বর্ষায় বৃষ্টিপাতের জন্য উষ্ণতা কমে ২৫°-৩০° সে. হয়। ৩) শরতে সূর্য দক্ষিণে সরে যাওয়ায় উষ্ণতা কমে ২০°-২৫° সে. হয়। ৪) শীতে তির্যক সূর্যরশ্মির জন্য উষ্ণতা সবচেয়ে কমে ১৫°-২০° সে. হয়। দার্জিলিং অঞ্চলে মাঝে মধ্যে তুষারপাত হয়।

ঋতুগত বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ : এখানে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ থেকে উত্তরে সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে ১৮০° দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমিবায়ু স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়।

Leave a Comment

error: