পঞ্চশীল নীতি : 1954 খ্রীস্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু এবং গণ প্রজাতান্ত্রিক চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই উভয় রাষ্ট্রের সম্পর্ক বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন । এর ভিত্তি ছিল পঞ্চশীল নীতি ।
পঞ্চশীল নীতি গুলি হল –
১) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
২) ভূখণ্ডত অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমিকতা সম্পর্কে পারস্পারিক শ্রদ্ধা
৩) অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা
৪) সমতা ও পারস্পারিক সুবিধা
৫) অনাগ্রাসন নীতি গ্রহণ করা
পঞ্চশীল নীতির পটভূমি
Contents
এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলি এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্র যুগশ্লাভিয়াও নির্জোট আন্দোলনে সামিল হন । স্টালিনের সঙ্গে মতভেদের ফলে যুগশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো কমিউনিস্ট ব্লক থেকে বেরিয়ে এসে পশ্চিমি শক্তিগোষ্ঠীর সঙ্গে না গিয়ে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে পরিচালিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যোগদান করেন । তাঁর আমন্ত্রণে জওহরলাল নেহরু ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে যুগশ্লাভিয়া যান এবং ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্শাল টিটো ভারত সফরে আসেন । ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে ডিসেম্বর প্রচারিত এক যৌথ ঘোষণায় উভয় নেতা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রতি নিজেদের গভীর আস্থার কথা বর্ণনা করেন । ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত-তিব্বত চুক্তির পর তিব্বত ভারতের পঞ্চশীল নীতি মেনে নিয়েছিল ।
পঞ্চশীল নীতির প্রবক্তা কে ?
পঞ্চশীল নীতির প্রবক্তা ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ।
পঞ্চশীল নীতি প্রথম কে ঘোষণা করেছিলেন ?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রথম পঞ্চশীল নীতির ঘোষণা করেছিলেন ।
পঞ্চশীল নীতি কবে স্বাক্ষরিত হয় কোন কোন দেশের মধ্যে ?
পঞ্চশীল নীতি ১৯৫৪ সালের ২৮ শে এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু এবং গণ প্রজাতান্ত্রিক চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই এর মধ্যে এই নীতি স্বাক্ষরিত হয় ।